ফরেস্ট গাম্প ১৯৯৪ (রিভিউ)

মুভি: ফরেস্ট গাম্প / Forrest Gump (1994)

হালকা স্পয়লার

একটা মানুষের জীবন। সেই জীবনের গল্প। সেই জীবনের সাথে জড়িত আরো অনেক মানুষের গল্প, কথা। অনেক বাধা সত্ত্বেও এগিয়ে চলার নামই জীবন। সেই বার্তাই দেয় ফরেস্ট গাম্পের জীবন। ফরেস্ট গাম্প ছবিটি তৈরি করা হয়েছে উইনস্টন গ্রুম এর ‘ফরেস্ট গাম্প’ উপন্যাস অবলম্বনে। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন এরিক রথ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রবার্ট জেমিকিস। আর ফরেস্ট গাম্প মানেই অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস।

ফরেস্ট গাম্প এমন এক ছবি যা যে কোনো সাধারণ মানুষকে বেঁচে থাকার, বড় হওয়ার এবং সরল-সুন্দর হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। কেন জানিনা সিনেমাটি যতবারই দেখি সিনেমা শেষে স্তব্ধ রজনীর নীরবতা আমাকে জীবনের প্রতি গাঢ় করে দিয়েছে।

বিশ্বাস করে নিলাম- জীবনের রং যত খারাপ হোক, সে রং যেকোনো সময় রংধনু হয়ে আপনাকে পাল্টে দিতে পারে।

এই সিনেমায় সত্তর এবং আশির দশকের দৃশ্যপট দেখানো হয়েছে। সিনেমায় দেখানো ল্যান্ডস্ক্যাপ দৃশ্য মনমুগ্ধকর। সিনেম্যাটিগ্রাফি, সাউন্ড মিক্সিং সব কিছুই ছিলো প্রশংসনীয়। মোট কথা এটি সর্বকালের সেরা একটি মাস্টার পিস সিনেমা।

আসলো এত সুন্দর করে কিছু কিছু বিষয় পরিচালক রবার্ট জেমেকিস ফুটিয়ে তুলেছেন এক কথায় অনন্য। এই ক্ষেত্রে লু একটা দৃশ। পটের কথা না বললেই নয়, যখন ফরেস্ট প্রথম নিজ পায়ে দৌড়াতে শেষে সেই দৃশ্যটি আবার গল্পের নায়িকা জেনি যখন সুইসাইড করতে যায় সেই দৃশ্য, হাসপাতাকে লেফটেনেন্ট ড্যান যখন ফরেস্ট কে রাতের বেলায় জাপ্টে ধরে তার রাগ অভিমান কষ্ট গুলো প্রকাশ করে, ছাত্র শেষের দিকের দৃশ্য যখন নায়িকা জেনি যখন ফরেস্টকে, ফরেস্ট জুনিয়র এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আসলে অসাধারণ সেই মুহূর্তগুলি।

ফরেস্ট গাম্প

হাসি পাচ্ছিলো খুব অটিজমে আক্রান্ত গাম্পের বোকাসুলভ আচরন দেখে, আবার গম্ভিরও হতে হয়েছে ইমোশনাল টাচ দেখে! টম হ্যাঙ্কসের অভিনয়? লোকটা হলিউডের সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের একজন! এরপরও সে কি অভিনয় করেছে, বলার প্রয়োজন নেই!

মুভিটি ৯টি অস্কার সহ দুনিয়ার সকল বড় বড় এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের হিংসভাগ পুরস্কার নিজের ঝুলিতে আনতে সক্ষম হয়েছিলো!! অর্থাৎ বলা যায়, আপনি যদি এখনও মুভিটি না দেখে থাকেন, তাহলে আপনার কপাল খারাপ! রিয়েলি! মানে আমি বলতে চাচ্ছি মুভিটা দেখা মিস করা উচিত না আপনার!

Leave a Comment

Shopping Cart